তখন আমি ক্লাস 5 এ পড়ি,
স্কুল থেকে বের হওয়ার সময় দেখলাম একটি ছেলে খালি গায়ে, হাফপ্যান্ট পরা, দাড়িয়ে আছে। শরিরের হাড় হাড্ডি সব বেরিয়ে এসেছে!মনে হচ্ছে ছেলেটা ক্লাস 4 এ পড়ার মতো কিন্ত দেখে মনে হচ্ছে ৬ -৭ বছরের ছেলে!!তাকে দেখে খুবই মায়া হলো! আমার ভাড়ার ১০টাকাটা তাকে দিয়ে দিলাম!!আমি সারা রাস্তা শুধু তার কথাই ভাবছিলাম!!কতো দুঃখ সেই ছেলেটির!! সেতো প্রায় আমার বয়সেরই!! কিন্তু আমি যা খেতে পারি সে সেটা পারে না, আবার আমি স্কুল ও যেতে পারি সে যেতে পারে না!!সেই ছেলেটি সারাদিন ভিক্ষা করে!!খুবই খারাপ লাগছিলো আমার!!!বারবার মনে হচ্ছিল আমি কি তার জন্য কিছু করতে পারি না!!নিজেক খুব অপরাধী মনে হচ্ছিলো!!
বাসায় পৌছালাম, আম্মু বাবা বাসায় না থাকলে আপু আর আমি মিলে খিচুড়ি রান্না করে খাই! খুব মজা লাগে!! সেইদিনও তেমনি খিচুড়ি রান্না করেছিলাম। খিচুড়ি রান্না করতে গিয়ে চালের পরিমাণটা বেশি হয়ে যায়, ফলে খিচুড়ির পরিমাণটাও বেশি হয়ে গিয়েছিল! আর খেতে পাচ্ছিলাম না!!এখন কি করবো!!যদি আম্মু আসে দেখে খিচুড়ি রান্না করছি তাহলে তো. ………………।৷
তখন আমার মনে পরলো সেই ছেলেটির কথা! আমরা এই দিকে খেতে না পেরে নষ্ট করার কথা ভাবছি, ওই দিকে হয়তো ছেলেটা একবেলা পেট ভরে খেতেও পাচ্ছে না!
আমরা কতো সৌভাগ্যবান, এইদিকে আমরা বেশি বেশি পেয়ে নষ্ট করছি আর ওইদিকে সেই ছেলে টির মতো কতো অসহায় মানুষ না খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে!!
এটাই কি জীবন!!তারাও তো মানুষ!!তারাও তো আমাদের মতো বাঁচতে চায়!!আমাদের মতো তাদের ও তো অনেক চাহিদা থাকতে পারে!!তারাও তো একটা সুন্দর জীবনের অধিকারী!!!
এজন্য আমাদের উচিত তাদের সাহায্য করা!তাদের পাশে এসে দাড়ানো,তারা যখন আমাদের কাছে সাহায্য চাইবে তাদের যথাসাধ্য সাহায্য করা!!সাধ্য থাকলে নতুন কাপড় দেয়া! খাবার দেয়া! পারলে পড়াশুনার খরচ দেয়া!!আর সবচেয়ে বড় কথা তাদের সম্মান দেয়া!!তাহলে একটু হলেও তারাও পাবে একটি সুন্দর জীবণ!!!
(পরিশেষে ভুলত্রুটি ক্ষমার নজরে দেখবেন)
…………… রোদেলা রিদা ………….
প্রথম মন্তব্য লিখুন
মন্তব্য লেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগ ইন করতে হবে