আমি (পর্ব৪)


আমি (পর্ব৪)

সকালের মিষ্টি রোদ আমার চোখে লাগছে।ঘুম ভেঙে গেল আমার।আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম।খুব সুন্দর প্রকৃতি আজকে।
আমি বাইরে বের হলাম।কিছুক্ষন ঘুরে এলাম।বান্ধবীর বাড়িতে গেলাম।ভেতরে ঢুকতেই মারিয়া মানে বান্ধুবি আমাকে তার ঘরে নিয়ে গেল।মারিয়া এমন একটা নাম যে নাম noun এবং verb এর কাজ করে।
 

"এই ইসরাত কি উদ্দেশ্য এলি?" 
"এমনি এলাম।তোকে দেখতে এলাম।" 
"ওহ আচ্ছা।আগে এসেছিস পুতুল খেলার জন্য।" 

 

পুতুল খেলা!!ও হ্যা আগে তো পুতুল খেলার জন্য আমি মারিয়াদের বাড়িতে আসতাম।মারিয়াও আমাদের বাড়িতে যেত।
" হ্যা আসতাম পুতুল খেলার জন্য।কত সুন্দর সেই দিনগুলো।" 
"হ্যারে সেই দিন আর ফিরে পাওয়া যাবে না।"
"হুমম।এখন আমি আসি।" 
"আরে এখনি চলে যাবি?"
"হ্যা।"

 

আমি বাড়িতে এলাম। আজ সারাদিন কাটলো আনন্দে।এই রাত্রিকালে একলা একলা বাড়িতে।কেউ নেই বাড়িতে।এ সময় আবার বাড়িতে কে এলো?আমি গেট খুলে দেখলাম আমার মামাতো ভাই রিহান। 
"এ সময় তুমি?" 
"হ্যা আসতে পারি?" 
"হ্যা ভাইয়া কেন আসতে পারবে না?এসো।" 
 

রিহান ভেতরে এলো।পুরা বাড়ি ফাঁকা।
"কিরে পুরা বাড়ি ফাঁকা কেন?"
"ওহ সবাই বড় আন্টির বাড়িতে গেসে।" 
"আর তুই?" 
"আর আমি একা।তুমি বসো।" 
"এই ইসরাত।" 
"হুমম ভাইয়া।"
"এক কাপ চা দে তো।" 
"ঠিক আছে ভাইয়া।আমি এখনি আনছি।" 
আমি রিহানের জন্য চা নিয়ে এলাম। 
"নাও চা।"
"তুই রান্না করতে পারিস?" 
"না পারি না।"
"তাহলে আজকে রাতে কি খাবি?" 
 

আমি চায়ে চুমুক দিয়ে বললাম,"রান্না করেছি তো।"

 "এইমাত্র বললি রান্না করতে পারিস না।আবার কেমনে করলি?" 
"যেভাবে করে সেইভাবে।" 
"তাহলে আজকে আমি খেয়ে যাবো।" 
"ঠিক আছে ভাইয়া।"

আমরা অনেক গল্প করলাম।খাওয়ার সময় হলো।রিহানকে খেতে দিলাম।রিহান খাবার মুখে দিয়েই চুপ হয়ে আছে।আমি বললাম
"কি হলো?ভালো হয়নি?"
"হ্যা হয়েছে।খুব ভালো।" 
"আমি কিন্তু খারাপ রান্না করি না।" 
"তাতো বুঝতেই পারছি।"
আমাদের খাওয়া শেষ হলেই রিহান চলে যায়।আমি ছাদে গেলাম।অনেক সুন্দর চাদ উঠেছে।জোস্না রাত চারদিকের পরিবেশ অনেক সুন্দর।আমি গান শুরু করলাম।কেউ সাথে থাকলে ভালো হতো।কিন্তু কেউ নেই।


fe
তিনি এই গল্পটি পছন্দ করেছেন ।

১টি মন্তব্য

fe

fe

২ বছর আগে

রহস্যময় মানুষ 😌 নেক্সট প্লিজ


মন্তব্য লেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগ ইন করতে হবে


আপনার জন্য

সুবিমলবাবুর স্মরণীয় বাস জার্নি

সুবিমলবাবুর স্মরণীয় বাস জার্নি

১.সুবিমলবাবু অনেকদিন পর ...

প্রিয় জয়ন্ত স্যার

প্রিয় জয়ন্ত স্যার

তখন সবে হাইস্কুলে উঠেছি।...

তুমি অনন্যা  (পর্ব ৫)

তুমি অনন্যা (পর্ব ৫)

রনি বললো," একটা কবিতা বল...

আবার ফিরে দেখা

আবার ফিরে দেখা

   “ ঈপ্সিতা” ডাকটা শুনে...

জুতা চোর

জুতা চোর

এই বিশুটা জুতা চুরি করে ...

শেষ

শেষ

      ফোন রিং হওয়ার শব্দ...

জিহাদ বাবু

জিহাদ বাবু

 হাসি হাসি আর হাসি রিফাহ...

চিরকুট

চিরকুট

  এই গল্পটা আমার না।এটা ...

দার্শনিক ফল্টুদা

দার্শনিক ফল্টুদা

দার্শনিক ফল্টুদা —ফল্টুদ...

কেমন আছো তুমি

কেমন আছো তুমি

 নিলিকে আমি আমার মনের কথ...

আমি (পর্ব৪)

আমি (পর্ব৪)

সকালের মিষ্টি রোদ আমার চ...

অর্পন

অর্পন

ভোরের সূর্য উঠার ঠিক আগ ...

অ্যাক্সিডেন্ট

অ্যাক্সিডেন্ট

অ্যাক্সিডেন্ট আজ আমি ভীষ...

"রহস্যময়ী সেই ফোন কল"

"রহস্যময়ী সেই ফোন কল"

রাত ১০ টা বেজে ৩০ মিনিট ...

অপেক্ষা

অপেক্ষা

অপেক্ষা, এই জিনিসটা খুব ...

নীল দ্বীপ (পর্ব২)

নীল দ্বীপ (পর্ব২)

ব্রেকফাস্ট শেষে মৃন্ময় ত...

পড়ন্ত বিকেলে...

পড়ন্ত বিকেলে...

পড়ন্ত বিকেলে...সারাদিন ঝ...

আসক্ত

আসক্ত

১. আমি ভিডিওগেম আসক্ত। এ...

ফল্টুদার পরিচয়পর্ব

ফল্টুদার পরিচয়পর্ব

১.ফল্টুদার নামের ইতিকথা—...

কে ছিল???

কে ছিল???

আমি আগে ৯ -১০ টার মধ্যেই...