তুমি অনন্যা
লেখক:ইসরাত ইমরোজ
পর্ব:০২
রনি ঘরে ঢুকতেই শান্ত বললো,"কিরে কি করছিলি একা একা?"
নীরব বললো,"বুঝেছি তোর ভেতর যে এটা চলছে আগে তো বলিসনি।এত ভালো বন্ধু আমরা তাও আমাদের বলিসনি।"
শান্ত বললো,"হ্যা আমরা এতই পর হয়ে গেলামতোর কাছে।"
রনি কথার আগামাথা কিছুই বুঝতে না পেরে বললো,"কি বলিস এসব?"
শান্ত বললো,"তোর যে একটা রিলেশন আছে সেটা তো আমাদের বলিসনি।"
রনি অবাক হয়ে বলল,"রিলেশন! আমার!কি বলিস এইসব? আমার কোনো মেয়ের সাথে রিলেশন থাকলে তো তোরায় আগে জানতি।"
নীরব এগিয়ে এসে বললো,"আমরা জানিনি কারন তুই আমাদের বলিসনি।"
রনি বললো,"দেখ আমার কোনো রিলেশন নেই।"
শান্ত জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে বলল,"তোর যদি রিলেশন নাই থাকে তাহলে তোর হাতে লিপস্টিকের দাগ কেন?ওটা তো নিশ্চয় কোনো একটা মেয়ের ঠোঁট দিয়ে আকানো দাগ।"
রনি হাতের দিকে তাকিয়ে দেখল লিপস্টিকের দাগ।রনির তখনই মনে পড়ে মেয়েটা পড়ে যাচ্ছিলাম তখনি হয়তো লেগে গেসে।
রনি বললো,"একটা মেয়ের সাথে দেখা হয়েছিল।আগে কখনো দেখিনি।এমন রূপবতী মেয়েও আমার চোখে আগে কখনো পড়েনি।দেখে মনে হয় ১৫-১৬ বয়সী।কিন্তু ভাবভঙ্গিমা দেখে মনে হয় অনার্সে পড়ে ।তার চোখের দিকে তাকালেই হৃদয়ের ভেতর প্রেম জাগে।এত মায়াবী কি আর বলবো।তারপর...
রনি সব ঘটনা খুলে বললো।সব শুনে নীরব আর শান্ত হাসতে লাগলো।
রনি বললো,"হাসছিস কেন?"
নীরব বললো,"তুই যে প্রেমে পড়ে গেসিছ।"
শান্ত রনির কাঁধে হাত দিয়ে বললো,"চেষ্টা কর মেয়েটা তোর কাছে আনার।"
রনি হাসতে লাগলো।
বিকেলে রনি বের হলো ইসরাতের সাথে দেখা করতে।ইসরাতকে প্রথম দেখাতে তার মনে ধরেছে।বার বার সেই হাসি আর সেই রূপ চোখের সামনে ভাসছে।সে যে সেই রূপবতী নারী যে কিনা পরক্ষনে কোনো এক মানুষের মনটা ছু মেরে নিয়ে যেতে পারে।তার কাজল সেই আঁখির দিকে তাকালে হারিয়ে যায় হাজারো মানুষ।তার হাসি দেখে পড়বে হাজারো গলায় ফাঁসি।সে যে এমন এক রূপবতী এক নারী যে করে হাজারো মন চুরি।
২টি মন্তব্য
এক বছর আগে
nexxt 😋🖤
fe
এক বছর আগে
Romantic 😉 next please
মন্তব্য লেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগ ইন করতে হবে