রাত ১ঃ৩০টা।অমাবস্যার রাত।চারদিকে নিকষ কালো অন্ধকার।
একটু আগে আবার বৃষ্টি হয়েছিল। এখনো বড় বড় ফোঁটা পড়ছে।হালকা ঠান্ডা বাতাস বইছে।
কুকুরের কান্না শুনা যাচ্ছে।ওটা কি কান্না, না হাসি কিছু বুঝা যাচ্ছে না!কিন্তু যাই হোক ওটা—বেশ ভয়ংকর! চারদিকে নিরব একটা থমথমে পরিবেশ।
একটা সরু রাস্তা দিয়ে ছাতা হাতে মোবাইল টর্চ নিয়ে বাড়ি ফিরছে অলক।রাস্তাটা পাকা কিন্তু রাস্তার চারপাশে ঝোপঝাড়ের বন!
ডাক্তার হলে যেকোনো সময় ডাক পড়তে পারে—অলকও একজন ডাক্তার। ও ওর একটা পেশেন্টের বাড়ি থেকে ফিরছে।গিয়েছিল রাত ১১ টা বাজে।আসতে অনেক লেট হয়ে গেছে, তাই কোনো রিকশা না পেয়ে পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে অলককে!
অলক চুপচাপ হাঁটছে। কিন্তু, একসময় ওর মনে হলো ওকে কেউ পিছন থেকে ফলো করছে! অলক পিছন ফিরে তাকালো —কিছুই তো নেই!
আবার সামনে ফিরে তাকাতেই অলক একটা জ্বলজ্বল চোখ দেখে একপা পিছনে সরে গেলো।
তারপর টর্চটা ওই চোখটার ওপর ফেলতেই অলক দেখলো—ওটা একটা কুকুরের চোখ।কুকুরটা অলকের দিকে নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।হঠাৎ একটা কেমন বিচ্ছিরি হাসি দিলো কুকুরটা! অলকের বুকটা ধক্ করে উঠলো!
তারপর কুকুরটা নিজে নিজেই রাস্তার সামনে থেকে সরে গেলো। অলক আবার হাঁটা শুরু করলো।
তখন অলকের মনে হলো,আসলেই পিছনে কেউ আছে! অলক হঠাৎ করে আবার পিছনে ফিরে তাকালো —না,কিছু নেই তো!
"অলক…" অস্পষ্ট একটা সুর অলকের কানে ভেসে আসলো!
"কে!"
আর কোনো আওয়াজ আসছে না!অলকের মনে একটা ভয়-ভয় অনুভূতি হতে লাগলো।তাও অলক খুব দ্রুত হাঁটার চেষ্টা করছে।
"অলক…"আবার একটা মায়াবী অস্পষ্ট সুর।
অলক পিছনে তাকালো।
পিছনে তাকাতেই অলক দেখলো —এক সুন্দরী রূপবতী তরুণী দাঁড়িয়ে আছে। অলক কিছুতেই চোখ সরাতে পারছিল না।
হঠাৎ অলকের গলার ধার দিয়ে অত্যন্ত শীতল একটা কিছু ঠেকলো।অলক মাটিতে লুটিয়ে পড়লো! গলা দিয়ে অনবরত রক্ত বের হচ্ছিল —কিন্তু রক্ত বের হওয়া বন্ধ হয়ে গেলো!
অলকের শরীরে এখন আর রক্ত নেই! অলকের শরীর এখন রক্তশূন্য!
অলকের শরীরের মাংসগুলোও কেমন কুঁচকে যাচ্ছে!
একটা কুকুর এসে ওই মায়াবীনী সুন্দরী রূপবতী তরুণীর দিকে তাকিয়ে একটা বিচ্ছিরি রকম হাসি দিয়ে,অলকের শরীর থেকে মাংস ছিঁড়ে-ছিঁড়ে খেতে শুরু করলো!
অলক ছিল এই ভয়ংকর অমাবস্যার রাতের শিকার!
প্রথম মন্তব্য লিখুন
মন্তব্য লেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগ ইন করতে হবে